এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের সব ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা অনেক শিক্ষক ও প্রক্টর দেখেছি, যারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। ছাত্রলীগের হামলায় কেউ মরে গেলে সে হয় আবরার, আর যে বেঁচে যায় সে হয় শিবির। আজকে ছাত্রলীগ তুমি কোথায়, সাদ্দাম-ইনান তোমরা কোথায়? ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ছাত্রলীগের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছি।
আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বলতে শোনা যায়, তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যেসব অপরাধ করেছে, মানুষের গলা চেপে ধরেছে, আইন-আদালতকে নিজের মতো বানিয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, গণরুম-গেস্টরুমকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছে, আগামী ১০০ বছর জেল খাটলেও তাদের শাস্তি পূর্ণ হবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা এ দেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, গণরুম-গেস্টরুমকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছেন। আপনারা যদি কখনও দেশে ফিরতে চান আপনাদের প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করে ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নেবে আপনারা দেশে থাকতে পারবেন কিনা। ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন এ দেশে ফ্যাসিবাদের দোসর, লাঠিয়াল বাহিনী ও সহযোগীদের পুনর্বাসন হবে না। আপনারা টুক করে এ দেশে ঢুকে যাবেন এ আশা বাদ দিয়ে দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তিনি ওয়েস্টার্ন ও ভারতীয় মিডিয়ায় আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে জিহাদি অভ্যুত্থান বলে প্রচারের চেষ্টা করছেন। আমরা বলতে চাই, এটা কোন জিহাদি অভ্যুত্থান ছিল না, এটা ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের অভ্যুত্থান। যারা দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিতে জুলুম কায়েম করেছিল, এই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা তাদের কবর রচনা করেছি। ভবিষ্যতে যারা জুলুম কায়েমের চেষ্টা করবে তাদেরও এ দেশের ছাত্র-নাগরিক এক হয়ে রুখে দেবে। সমূলে উৎখাত করবে।